চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রচারণার শুরুর দিকে এফডিসিতে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এক ঝাঁক সহশিল্পী নিয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
রিয়াজকে পাশে পেয়ে সেদিন ষাটোর্ধ নাজিম উদ্দীনের কান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অনেকে আবার ট্রলেও মাতেন।
সেই অভিনেতা এবারও কাঁদলেন, তবে খুশিতে। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী করার খবরে খুশিতে আত্মহারা হন নাজিম উদ্দীন।
শনিবার রাত ৮টায় এফডিসি পরিচালক সমিতির সামনে দাঁড়িয়ে নিপুণের বিজয়ের স্লোগানে গলা ফাটাচ্ছিলেন আর কাঁদছিলেন নাজিম উদ্দিন।
এ সময় সাংবাদিকদের পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ সহশিল্পী বলেন, ‘ আজ আমাদের ঈদ। খুব খুশি আমরা। আজ নিপুণ আপার বিজয়ে আমার ঈদের মতো আনন্দ লাগছে। এটা সত্যের জয়। সত্যকে ঠেকানো যায় না। জায়েদ খানরা আমাদের অন্যায়ভাবে বাদ দিয়েছিল। একসময় এফডিসিতে অনেকেই আসতে পারতাম না। নির্বাচনের আগে থেকে আমি কাঞ্চন ভাই আর নিপুণ আপার জন্য দোয়া করেছি। তারা যেন নির্বাচিত হন। ’
নাজিম আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ১৮৪ জন শিল্পীর কান্না থামবে। আমাদের একটা পথ হবে। আমরা শতভাগ নিশ্চিত। আমাদের আশা এতোদিন পর পূরণ হয়েছে। আমরা এখন শিল্পী হয়ে মরতে পারব। সেই সম্মানটা পাব। আমাদের দুঃখ বোঝার মতো মানুষেরা এখন সমিতি চালাবেন। এর চেয়ে শান্তি আর কী আছে। নিপুণ আপার কাছে আমাদের আবেদন, আমাদের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেটার বিচার হোক।’
মিশা-জায়েদ কমিটির শিল্পী সমিতিতে ভোটাধিকার থেকে বাদ পড়েছিলেন ১৮৪ জন অভিনয়শিল্পী। এসব শিল্পীদের বেশিরভাগকেই ‘এক্সট্রা’ বলা হয়। তারা সিনেমায় রিকশাচালক, বস্তির লোকজন, দোকানদার, কুলি এসব ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের সদস্যপদ বাতিলের পর এফডিসিতে প্রবেশেও বাধা আসে। শনিবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে নিপুণের বিজয়ে কাঁদছেন তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।